ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আস্থার শীর্ষে পর্তুগাল
ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৪৬:০১,অপরাহ্ন ২৫ এপ্রিল ২০২১ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর নাগরিকদের উপর চালানো ইউরোব্যারোমিটার ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ ২০২১ সালের জরিপে ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ পর্তুগালের ৭৮ শতাংশ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়ারল্যান্ডের ৭৪ শতাংশ জনগণ ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আস্থাশীল রয়েছেন। অপরদিকে গ্রিসের ৬৩ শতাংশ জনগণ ইইউর প্রতি আস্থাশীল নন।
ইইউ এর অর্থনীতি এবং মুদ্রা বিষয়ক ইউনিয়ন ইউরো এর প্রতি পর্তুগিজ জনগণের আস্থা সর্বোচ্চ ৯৪ শতাংশ দ্বিতীয় দেশ হিসেবে স্লোভেনিয়া ৯৪ শতাংশ এবং তৃতীয় আয়ারল্যান্ডের ৯১ শতাংশ নাগরিক আস্থা পোষণ করেছেন তারা মনে করেন বৈশ্বিক অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জোট গত একক অর্থনীতির মাধ্যমে বিশ্বের মাঝে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মাথা উঁচু করে অবস্থান করতে পারবে।
তবে নিজস্ব দেশের জাতীয় অর্থনীতির ক্ষেত্রে বর্তমান মহামারীর প্রেক্ষাপটে পর্তুগালের ৯০ শতাংশ মানুষ মনে করেন তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো অবস্থানে নেই তবে এই সংখ্যাটা সর্বনিম্ন পর্যায়ে আছে ইতালির ক্ষেত্রে তাদের ৯৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন তাদের অর্থনীতি খুবই খারাপ পর্যায়ে রয়েছে। তবে লুক্সেমবুর্গের ৮৬ শতাংশ মানুষ তাদের জাতীয় অর্থনীতির উপর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
অপরদিকে মহামারীর ক্ষতি মোকাবেলা ও সদস্য রাষ্ট্রগুলো ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়নের ইউরোপীয় ইউনিয়নের গৃহীত ৭৫০ বিলিয়ন ইউরোর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনাকে পর্তুগালের জনগণের ৫০ শতাংশ মানুষ মনে করেন এটি কার্যকর করা সম্ভব হবে অপরদিকে মালটা এবং আয়ারল্যান্ডের যথাক্রমে ৮৩ ও ৭৭ শতাংশ নাগরিক কার্যকারিতার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূমিকার ক্ষেত্রে তৃতীয় দেশ হিসেবে পর্তুগালের ৬৬ শতাংশ মানুষ মনে করেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি হিসেবে ডেনমার্ক তাদের ৬৮ শতাংশ মানুষ মনে করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন করোনা মহামারীর প্রতিরোধে সঠিক অবস্থানে রয়েছে। যদিও গ্রিসের ৬৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন করোনা প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছেন বা সঠিক ব্যবস্থা নিতে পারেননি।
আইবেরিয়ান পেনিনসুলার হাজার বছরের ইতিহাস সমৃদ্ধ এই দেশ পর্তুগাল একটি বড় সময় অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশটিতে শাসন কার্য পরিচালিত হওয়ার কারণে ইইউর প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে অর্থনৈতিক পরিবর্তন করতে না পারলেও পরবর্তীতে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যুক্ত হওয়া এবং সরকারের বিভিন্ন অভূতপূর্ণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে বিগত দশকে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। তাছাড়া পর্তুগালে বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্সি কাউন্সিল হিসেবে ইউরোপের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করছে যায মেয়াদ এ বছরের জুন মাসে শেষ হবে।