প্রয়াত নেতাদের সাথে ইলিয়াস আলীকেও স্মরণ করলেন মির্জা ফখরুল !
বিশ্ব বাংলা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:১৫:০১,অপরাহ্ন ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯সুরমা নিউজ:
সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক আতাউল গণি ওসমানী, প্রয়াত বিএনপি নেতা সাইফুর রহমান ও নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে স্মরণ করতে গিয়ে ইলিয়াস আলী প্রসঙ্গে মির্জা ফকরুল বলেন, দীর্ঘ ৬ বছর ধরে তাকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আমি তাকে স্মরণ করতে চাচ্ছি। এরকম শতশত পরিবার তাদের স্বজনকে হারানোর জন্য ব্যথিত। তাদের পরিবার পরিজনের সাথে দেখা হলে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা থাকে না। বিএনপির হাজারো নেতা কর্মী এখন পঙ্গু হয়ে জীবনযাপন করছে। ২৬ লক্ষ নেতা কর্মীর উপর মামলা দেওয়া হয়েছে। বরেণ্য অনেক ব্যক্তিবর্গকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফকরুল। এসময় খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকার জন্য নেতা কর্মীদের আহবান জানান ফখরুল।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখন ঘরে ঘরে ক্যাসিনো। দেশের মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই। প্রতিদিন সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫০ থেকে ৬০ জন মানুষ মারা যাচ্ছে। সরকার গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়াচ্ছে। সরকারের সবাই লুটেরা। মেঘা প্রকল্পের নামে মেঘা লুট হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিলেট রেজিস্ট্রারি মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এই সরকার সরকার নয় উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে দলীয় লোক ছাড়াই বিভিন্ন বাহিনী দিয়ে ভোট কারচুপির মাধ্যমে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এজন্য বর্তমান সংসদ কোনো কাজ করছে না। দেশে ভয়াবহ নৈরাজ্য চলছে বিচার ব্যবস্থায়। প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ধ্বংশ করতে হবে এটাই সরকারের মূল চাওয়া। তাদের প্রতিপক্ষ হচ্ছে জনগণ।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা ২ বছরের বেশি সময় ধরে এদেশে আছে। একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত পাঠাতে পারেনি সরকার।
খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের অংশ হিসেবে সিলেটের এই সমাবেশ উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশারফ হোসেন বলেন, এখন বিচারালয় সরকারের নির্দেশে চলে। যে মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে তাতে তার সম্পৃক্ততা নেই। শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে ভয় পান বলেই তাকে আটক করে রেখেছেন।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আদালতের উপর রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাচ্ছে না। রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করতে হবে।
সমাবেশে বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদির লুনা, খন্দকার আব্দুল মোক্তাদির, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এনি, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, যুবনেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সহসাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন সেলিম, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন মিলন, কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জি কে গউছ, সহক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসোইন, সাবেক সভাপতি ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী, বিএনপি নেতা হুমায়ন কবির খান, কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মুর্তাজুল করিম বাবলু, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব হাসান জাকির তুহিন, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, কেন্দ্রীয় তাঁতীদলের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামীমের সভাপতিত্বে শুরু হয় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। বেলা ১টা থেকেই বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসা শুরু করেন। সমাবেশ পরিচালনা করেন, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ ও সিলেট মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী।