১৭ প্রার্থী মাঠে, কুলাউড়ায় বিএনপির কাউন্সিলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু সাধারণ সম্পাদক পদ

আফাজ জনি
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৫২:৫৬,অপরাহ্ন ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫রাত পোহালেই (১৩ সেপ্টেম্বর) কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এই পাঁচ পদে মোট ১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ইউনিয়ন থেকে গ্রামাঞ্চল, হাটবাজার থেকে পাড়া মহল্লা সব জায়গায় এখন কাউন্সিলকে ঘিরে উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
এবারের কাউন্সিলে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে সাধারণ সম্পাদক পদ। এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বদরুজ্জামান সজল, শামীম আহমদ চৌধুরী এবং সুফিয়ান আহমদ। তৃণমূল নেতা কর্মী ও কাউন্সিলরদের মধ্যে মূল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এই তিনজনকেই ঘিরে। তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, অতীত ভূমিকা ও মাঠপর্যায়ের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ভোটারদের মধ্যে চলছে নানা বিশ্লেষণ।
তৃণমূল নেতা কর্মীদের মতে, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি তরুণ, মেধাবী ও ত্যাগী নেতৃত্বই এখন কুলাউড়ার বিএনপিকে নতুন উদ্যমে এগিয়ে নিতে সক্ষম হবে। তাদের ভাষ্য, সময়ের দাবি এমন একজন নেতা, যিনি রাজপথে পরীক্ষিত, সংগঠনের প্রতি নিবেদিত এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুকরণীয় হয়ে উঠতে পারেন।
কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক মৌসুম সরকার বলেন, “আমি কুলাউড়ার ১৩টি ইউনিয়নের একাধিক কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে, এবার নতুন নেতৃত্ব এবং তরুণদের প্রতিই ভোটারদের আগ্রহ বেশি।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির এক সদস্য জানান, “ডাকসু নির্বাচন ইতোমধ্যেই প্রমাণ করেছে, সময়ের দাবি মেধা ও বুদ্ধিভিত্তিক নেতৃত্ব। জাতীয় নির্বাচন সামনে, আর বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে হলে তরুণ, দায়িত্বশীল ও যোগ্য নেতৃত্বকে সামনে আনা ছাড়া বিকল্প নেই।”
এদিকে, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মাজহারুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আহ্বান জানিয়েছেন, তরুণ, মেধাবী ও ত্যাগী নেতৃত্বকে প্রাধান্য দিয়ে কাউন্সিলররা যেন দলকে শক্তিশালী করার সুযোগ তৈরি করেন। তার মতে, সময় এসেছে কুলাউড়া বিএনপিকে নতুন প্রজন্মের হাতে তুলে দেওয়ার।
এবারের কাউন্সিলকে ঘিরে ইতোমধ্যেই প্রার্থীদের সমর্থকরা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন। স্থানীয়ভাবে কাউন্সিলকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হলেও, নেতৃত্ব নির্বাচনে তৃণমূলের প্রত্যাশা ও উপজেলা এবং জেলা নেতৃবৃন্দের দিকনির্দেশনা মিলিয়ে শেষ মুহূর্তে পাল্টে যেতে পারে ভোটের সমীকরণ। অনেকে মনে করছেন, এই কাউন্সিলের ফলাফল শুধু উপজেলা কমিটির নয় বরং আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি পুনর্গঠনের একটি বড় পরীক্ষা হয়ে দাঁড়াবে।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. রেদওয়ান খান জানিয়েছেন, এবারের কাউন্সিলে ১৩ ইউনিয়নের ৯২৩ জন ভোটার ব্যালটের মাধ্যমে তাদের পছন্দের নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন। তিনি বলেন, সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে পৌর শহরের বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এই কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
