স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ১৯ জুন বাংলাদেশ বিমানের চার্টার ফ্লাইট আসছে মাদ্রিদে
বিশ্ব বাংলা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ১:১৯:০০,অপরাহ্ন ১৪ জুন ২০২০এম. লায়েবুর রহমানঃ স্পেনে বাংলা গণমাধ্যমে প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আগামী ১৯ জুন শুক্রবার বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ চার্টার ফ্লাইট স্পেনের রাজধাণী মাদ্রিদে আসছে। করোনার বৈশ্বিক মহামারিতে বাংলাদেশে গিয়ে আটকে পড়া স্পেন প্রবাসী বাঙালীদের স্পেনে নিয়ে আসতে ‘বিমান বাংলাদেশ’ এই বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করছে।
স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও এটিএন বাংলা ইউকের স্পেন প্রতিনিধি বনি হায়দার মান্না এবিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবেরঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও স্পেনের বাংলাদেশ দূতাবাসের সর্বাত্মক সহযোগিতা এবং কমিউনিটির নানা শীর্ষজনের ভূমিকার কারণে বাংলাদেশে আটকে পড়া স্পেন প্রবাসীদের কথা বিবেচনা করে বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ মোকাব্বির হোসেনের বিশেষ নজরদারীতে এই বিমানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি জানান, মাদ্রিদে আসার বিমানের ই ৭৮৭- ৮০০ এয়ারক্রাফটিতে বিজনেস ক্লাসে ২২ জন এবং ইকোনোমিক্লাসে ২৪২ জন যাত্রী ঢাকা থেকে সরাসরি মাদ্রিদে আসতে পারবেন। এই ফ্লাইটের জন্য বিজনেস ক্লাসের যাত্রীদের বাংলাদেশী মুদ্রায় একলক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা এবং ইকোনোমি ক্লাসের জন্য নব্বই হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর নির্ধারিত অর্থ প্রদান করে ১৪ জুন রোববার থেকে বাংলাদেশ বিমানের অফিস থেকে এই ফ্লাইটের টিকেট ক্রয় করা যাবে। বনি হায়দার মান্না জানান, করোনাভাইরাসের আগ মুহুর্তে স্পেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা পরিবার পরিজনসহ অনেক কর্মজীবি-পেশাজীবি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে গিয়ে স্পেনে ফেরৎ আসতে গিয়ে আর্ন্তজাতিক সকল ফ্লাইট বাতিল হয়ে যাওয়ায় আটকা পড়েন। যার মধ্যে তাঁর স্ত্রী-সন্তানও রয়েছেন।
স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের স্পেন প্রতিনিধি এবং বাংলা কাগজের চীফ কো অর্ডিনেটর সাহাদুল সুহেদ জানান.তাদের প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে বিষয়টি অনুধাবন করে বাংলাদেশ বিমানের কোনো একটি বিশেষ ফ্লাইটে বাংলাদেশে আটকে পড়া স্পেন প্রবাসীদের মাদ্রিদে ফিরিয়ে আনা যায় কি না সেবিষয়ে স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সোশাল মিডিয়ায় একটি লাইভ টক শো‘ রা আয়োজন করা হয়, যেখানে কমিউনিটির নানাশীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ স্পেনের বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারাও যোগদেন। সেই টক শোতে স্পেনের বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে সর্ব্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করা হলে স্পেনবাংলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সিনিয়র সহ সভাপতি ও এটি এনবাংলা ইউকে এবং বাংলা কাগজের স্পেন প্রতিনিধি বনি হায়দার মান্নাকে বিষয়টি তদারকির জন্য দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তিনি বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ মোকাব্বির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি আবেদন কারে প্রেরণ করলে পরবর্তীতে বিমান কর্তৃপক্ষ এই বিশেষ বিমান পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করে।
স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও যমুনা টিভির স্পেন প্রতিনিধি এবং বাংলা কাগজের স্পেন ব্যুরো প্রধান আফাজ জনি জানান, স্পেন বাংলা প্রেসক্লাব শুধু গনমাধ্যমকর্মীদের নয় কমিউনিটির জন্যবিশেষ দায়বদ্ধতায় এই প্রচেষ্টাটি চালিয়েছে এবং মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সর্বাত্মক সহযোগিতা, স্পেনের প্রবীণ কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব খোরশেদ আলম মজুমদার, ভালিয়ান্তে বাংলার সভাপতি ফজলে এলাহী, বাংলাদেশ থেকে স্পেন প্রবাসী মাসুমের রহমান, আমিনুর রাজ্জাক, ওয়াসিম মিয়া, যুক্তরাজ্য থেকে বাংলা কাগজের উপদেষ্টা খায়রুল ইসলামসহ স্পেনের বাঙালী কমিউনিটির বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্থরের মানুষের সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য এইবিশেষ চার্টার ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে।
তবে স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের এই তিন কর্মকর্তাই তাদের অনুরোধে বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ মোকাব্বির হোসেন শত ব্যস্ততার মধ্যেও বাংলাদেশে আটকে পড়া স্পেন প্রবাসীদের জন্য এই বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করায় তাঁর প্রতিবিশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। এছাড়া তারা বিষয়টি নিয়ে স্পেনের বাংলাদেশ দূতাবাসের বিশেষ ভূমিকা এবং স্পেনের বাঙ্গালী কমিউনিটির সর্বজন শ্রদ্ধেয় খোরশেদ আলম মজুমদারের নানা সহযোগিতাসহ কমিউনিটির অন্যন্যদের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে বলেন, আগামী ১৯ জুন স্পেনের বাঙালী কমিউনিটির জন্য এক বিশেষ গৌরবের দিন যে,বাংলাদেশী যাত্রীদের নিয়ে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকাবাহী বাংলাদেশের কোনো বিমান এই প্রথমবারের মতো স্পেনে অবতরন করবে। উল্লেখ্য আগামী ১৯জুন বিমান বাংলাদেশ মাদ্রিদে বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করায় বাংলাদেশে আটকে পড়া স্পেন প্রবাসী বাংলাদেশী ও তাদের পরিবারের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। কেনোনা কিছু দিনের জন্য দেশেগিয়ে কারোনা ভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীতে তারা বাংলাদেশে আটকে পড়ে ছিলেন; যাদের অনেকের রেসিডেন্ট কার্ড ও পাসপোর্টের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার উপক্রম হয়ে উঠেছিলো।