বার্সেলোনায় স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের আশ্বাস ডেপুটি মেয়রের

আফাজ জনি
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:২৯:২৯,অপরাহ্ন ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫বার্সেলোনার রাভাল চত্বরে সম্মিলিত বাংলাদেশি কমিউনিটি আয়োজিত একুশে মেলা ’২৫ এ অন্যান্য অতিথিবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বার্সেলোনা সিটি কর্পোরেশনের ডেপুটি মেয়র আলবের্ত বাতিয়ে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের বিষয়টি এবারও উত্থাপন করলে মেয়র বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার আশ্বাস প্রদান করেন।
বার্সেলোনায় বসবাসরত বাংলাদেশিরা দীর্ঘদিন ধরে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার জন্য দাবি জানিয়ে আসছেন। ২০১৯ সালে স্থানীয় পেদ্রো চত্বরে স্থায়ী শহীদ ফলক স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নির্মান করে দিলেও স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মানের বিষয়টি অনেকাংশে পিছিয়ে রয়েছে।
মেয়রের আশ্বাসের বিষয়টি বার্সেলোনায় বসবাসরত কমিউনিটির সংস্কৃতিকর্মীদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে।
এবারের একুশে মেলার অন্যতম আয়োজক এবং স্পেন বাংলা প্রেসক্লাব সভাপতি আফাজ জনি বলেন, আমাদের আয়োজিত মেলায় আমরা স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপনের বিষয়টি ডেপুটি মেয়র সহ সংস্লিষ্টদের নজরে আনার চেষ্টা করেছি প্রয়োজনে আনুষ্ঠানিকভাবে আবারও আবেদন করব।
মানবাধিকার কর্মী মোহামেদ কামরুল বলেন, বার্সেলোনায় স্থায়ী শহীদ মিনার তৈরী প্রবাসী বাংলাদেশিদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি, যদি কর্তৃপক্ষ আমাদের এ সুযোগ তৈরি করে দেয় তাহলে প্রবাসে আমাদের দেশীয় সংষ্কৃতি এবং ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব আন্তর্জাতিকভাবে আরো বৃদ্ধি পাবে।
একুশে মেলা আয়োজনের সমন্বয়ক লোকমান হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারিতে আমরা শহীদ মিনারের অভাবে অস্থায়ীভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করি। কিন্তু একটি স্থায়ী শহীদ মিনার হলে আমাদের নতুন প্রজন্ম মাতৃভাষার ইতিহাস সম্পর্কে আরও সচেতন হবে। আমরা আশা করছি, এবারের আশ্বাস বাস্তবে রূপ নেবে।
প্রসঙ্গত, বার্সেলোনার রাভাল চত্বরে অনুষ্ঠিত এ একুশে মেলায় স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, বার্সেলোনার ডেপুটি মেয়র আলবের্ত বাতিয়ে, সংসদ সদস্য লিসা, অনারারি কাউন্সিলর রামন পেদ্রোসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বাংলাদেশি কমিউনিটির সাংবাদিক, সামাজিক, সাংস্কতিক এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মেলায় অস্থায়ী শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তক অর্পণ ছাড়াও বর্ণমালার র্যালি, চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা, ক্রিকেট লীগের পুরস্কার বিতরণী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
