বার্সেলোনায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত তৃতীয় আন্তর্জাতিক জালালাবাদ উৎসব ২০২৫
আফাজ জনি
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৫৮:০৭,অপরাহ্ন ২৫ অক্টোবর ২০২৫গ্লোবাল জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে স্পেনের বার্সেলোনায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তৃতীয় আন্তর্জাতিক জালালাবাদ উৎসব ২০২৫। স্থানীয় চার তারকা হোটেল সুনোটেলের বলরুমে রবিবার (১৯ অক্টোবর) এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। তিন পর্বে সাজানো এ উৎসবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশসহ স্থানীয় কমিউনিটির বিপুল সংখ্যক প্রবাসী অংশগ্রহণ করেন।
উদ্বোধনী পর্বে ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আমন্ত্রিত অতিথি, স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। প্রথম পর্বের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের স্পেন শাখার সভাপতি আমীন আলী রফিক। অনুষ্ঠানটি যৌথ সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাব্বির রহমান এবং শিপলু আহমেদ নিয়াজী।
এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বার্সেলোনায় নিযুক্ত অনারারি কাউন্সিলর রামন পেদ্রো, কাতালোনিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাইব, সিটি কাউন্সিলর ইভান পেরা ছাড়াও স্থানীয় সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা এবং প্রবাসী কমিউনিটির বিভিন্ন প্রতিনিধিবৃন্দ। এ সময় কমিউনিটিতে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ স্পেন বাংলা প্রেসক্লাব ও বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন এন কাতালোনিয়াকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
মূলপর্বে সভাপতিত্ব করেন গ্লোবাল জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিব এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মইনুল হক চৌধুরী হেলাল। এ পর্বের প্রধান অতিথি ছিলেন স্কটিশ পার্লামেন্টের এমপি ফয়ছল চৌধুরী এমবি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল এস টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি, ড. ওয়ালি তসর উদ্দিন এমবি ডিবিএ জেপি, বাংলাদেশ ক্যাটারারস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট এম. এ. মুনিম অবিই, বাংলাদেশের সাবেক হুইপ ও এমপি আলহাজ্ব সেলিম উদ্দিন, এসিএফ চেয়ারম্যান ইয়ার খান, ক্রয়ডনের সাবেক মেয়র কাউন্সিলর সেরওয়ান চৌধুরী, প্রবীণ রাজনীতিবিদ মারুফ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ সেন্টারের সাবেক ট্রেজারার সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের দীর্ঘদিনের উন্নয়ন বঞ্চনার বাস্তবতা তুলে ধরেন। তারা উল্লেখ করেন, রেমিট্যান্স নির্ভর এ অঞ্চল দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও যোগাযোগব্যবস্থা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উন্নয়ন, পর্যটন খাতের প্রসার, স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজনীয়তা এবং প্রবাসীসম্পর্কিত সেবায় এখনও উল্লেখযোগ্য অসামঞ্জস্য রয়ে গেছে। বক্তারা বলেন, প্রবাসীরা নিজেরা স্বেচ্ছাশ্রম ও অর্থায়নের মাধ্যমে নানা উন্নয়নমূলক উদ্যোগ নিলেও সরকারিভাবে টেকসই পরিকল্পনা ও অবকাঠামোগত সহযোগিতা এখনো তুলনামূলক কম। তাই প্রবাসী সমাজকে ঐক্যবদ্ধ থেকে বৃহত্তর সিলেটের উন্নয়ন দাবিকে আরও জোরদার করার আহ্বান জানান এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও নীতিনির্ধারকদের প্রতি জরুরি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটিতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ড. ওয়ালি তসর উদ্দিন এমবি ডিবিএ জেপি, কাউন্সিলর সেরওয়ান চৌধুরী এবং মাহমুদ হাসান এমবিই কে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক আয়োজন। এতে অংশ নেন বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড থেকে আগত শিল্পীরা, যারা আধুনিক, লোকসংগীতসহ নানা ধারার সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করেন। সাংস্কৃতিক পর্ব শেষে প্রবাসী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ এবং বিশিষ্ট অতিথিরা এ ধরনের আয়োজনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।






