মাল্টার শ্রমবাজার হারাতে পারেন বাংলাদেশ
বিশ্ব বাংলা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:১৯:০১,অপরাহ্ন ২২ মার্চ ২০২২নানা অনিয়ম আর মালিক শ্রমিকের মধ্যে শর্ত রক্ষা না করার কারনে যেকোন সময় বাংলাদেশ মাল্টার শ্রমবাজার হারাতে পারেন। বৈধভাবে এই দেশটিতে আসার পথ বন্ধ হলে ইউরোপে বাংলাদেশিদের প্রবেশ কঠিন হয়ে পড়বে।
জানা গেছে,বাংলাদেশ থেকে আসা নতুন শ্রমিকরা কোন ভাবেই মাল্টা সরকারের নিয়ম সঠিক ভাবে মানছেন না যার ফলে এ শ্রমবাজারটি মারাত্মক হুমকির সম্মুখীনে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় অনেক বাংলাদেশি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, কোন শ্রমিক বৈধভাবে আসতে চাইলে স্থানীয় মালিকের সাথে একটি কাজের চুক্তি নিশ্চিত করতে হয় পরে মাল্টা থেকে একটি অনুমতিপত্র আসলে সেই কাগজপত্র মাল্টা দূতাবাসে জমা দেওয়ার পর সব ঠিক থাকলে ভিসা দেওয়া হয়। ভারতের নয়াদিল্লিতে মাল্টার দূতাবাস।
স্থানীয় সুত্রে আরও জানা গেছে, কোন বাংলাদেশি মাল্টা এসে থাকছেন না। মাল্টা কোনভাবে আসতে পারলে তারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমান। ফলে মাল্টা কোম্পানির মালিকপক্ষের সাথে যে চুক্তি তা ভঙ্গ করছেন তারা। যেকারনে মালিকপক্ষ অনেকটা আস্থা হারিয়ে ফেলছেন বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রতি। পাশাপাশি শ্রমিক সংকটে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বিভিন্ন কোম্পানি। বাংলাদেশি শ্রমিকরা মাল্টাকে এক প্রকার ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করছেন। মাল্টা আসার পর এসব শ্রমিকরা ফ্রান্স,ইতালি,পর্তুগাল স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমান। এভাবে চলতে থাকলে মাল্টার এ শ্রমবাজার ধরে রাখা সম্ভব হবেনা বাংলাদেশের।
এ ব্যাপারে গ্রীসে বাংলাদেশ দূতাবাসের দূতালয় প্রধান
মোঃ খালেদ বলেন,ইউরোপের মধ্যে একটি ভাল শ্রমবাজার হল মাল্টা। বেতনও ভাল কিন্তু অনেক দিন ধরে শুনছি মাল্টায় শ্রমিকরা এসে ইউরোপের অন্য দেশে চলে যায়। এটা খুবই দুঃখজনক এবং এর ফলে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন,আনঅফিসিয়াল গত কয়েক বছরে মাল্টা সরকার প্রায় ছয় থেকে সাত হাজার ভিসা দিয়েছে বাংলাদেশি শ্রমিকদের। এর মধ্যে প্রায় চার হাজার শ্রমিক ইউরোপের অন্য দেশে চলে গেছে। তারা কয়েক মাস কাজ করে এরপর চলে যায় অন্য দেশে।
তাদের বুঝা উচিত অন্য দেশে যাওয়ার পর তারা অবৈধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে এ শ্রমিরা ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি চুক্তি অনুসারে অবৈধ হিসেবে নিজ দেশে ফেরত যাবার কাতারে চলে আসে। এসব ভেবে অনন্ত অন্য দেশে না গিয়ে মাল্টাতে কাজ করে নিজেকে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। এতে করে দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন হবেনা।এ বিষয়ে মাল্টা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী কাউসার আমিন হাওলাদার বলেন,গ্রীস দূতাবাসের সাবেক রাষ্ট্রদূত জসিম উদ্দিন ও বর্তমান কাউন্সিলর মোঃ খালেদ মাল্টা শ্রমবাজার ধরে রাখতে যথেষ্ট চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যক্তি বিভিন্ন উপায়ে শ্রমিক এনে অন্যত্রে পাঠিয়ে মাল্টার শ্রমবাজারটি ধ্বংস করার পায়তারা করছেন। এটা বন্ধ না হলে বাংলাদেশ ব্লাকলিস্টে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাদের বুঝা উচিত অন্য দেশে যাওয়ার পর তারা অবৈধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে এ শ্রমিরা ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি চুক্তি অনুসারে অবৈধ হিসেবে নিজ দেশে ফেরত যাবার কাতারে চলে আসে। এসব ভেবে অনন্ত অন্য দেশে না গিয়ে মাল্টাতে কাজ করে নিজেকে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। এতে করে দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন হবেনা।এ বিষয়ে মাল্টা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী কাউসার আমিন হাওলাদার বলেন,গ্রীস দূতাবাসের সাবেক রাষ্ট্রদূত জসিম উদ্দিন ও বর্তমান কাউন্সিলর মোঃ খালেদ মাল্টা শ্রমবাজার ধরে রাখতে যথেষ্ট চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যক্তি বিভিন্ন উপায়ে শ্রমিক এনে অন্যত্রে পাঠিয়ে মাল্টার শ্রমবাজারটি ধ্বংস করার পায়তারা করছেন। এটা বন্ধ না হলে বাংলাদেশ ব্লাকলিস্টে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।