সুনামগঞ্জে সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়, দুর্গন্ধে মানুষের ভোগান্তি
![](https://bishwa-bangla.com/images/icon.jpg)
বিশ্ব বাংলা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ২:০৫:৪৯,অপরাহ্ন ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯সুরমা নিউজ:
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের প্রতিদিনের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয় শহরতলির গুজাউড়া এলাকায়। পৌরসভার নিজস্ব জায়গায় খোলা স্থানে, সড়কের পাশে এ সব ময়লা ফেলায় সেগুলো সড়কের ওপর ও আশাপাশে ছড়িয়ে পড়ে। দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন মানুষজন। গত নয় বছর ধরে এই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। সম্প্রতি এখান থেকে ময়লা সরানোর দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার প্রতিদিনের বর্জ্য ফেলা হয় সদর উপজেলার সুনামগঞ্জ-বেতগঞ্জ সড়কের পাশে শহরতলির গুজাউড়া এলাকায়। গত নয় বছর ধরে এখানে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। পৌরসভা ২০১০ সালে ছয় একর জমির ওপর এই ডাম্পিং ইয়ার্ড নির্মাণ করে। রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ময়লা সংগ্রহ করে ভোরে এই ডাম্পিং ইয়ার্ডে নিয়ে রাখা হয়। পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলি থেকে রাতে দুটি ট্রাক ও ছয়টি ভ্যানে এসব ময়লা এক জায়গা জড়ো করে পরে নেওয়া হয় ডাম্পিং ইয়ার্ডে। প্রতিদিন এখানে ছয় থেকে সাত টন ময়লা ফেলা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ডাম্পিং ইয়ার্ডটি সুনামগঞ্জ-বেতগঞ্জ সড়ক লাগোয়া। এটির কোনো সীমানা প্রাচীর নেই। এই সড়ক দিয়ে সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের লোকজন প্রতিদিন জেলা শহরে যাতায়াত করেন। ডাম্পিং ইয়ার্ডের দক্ষিণে সুনামগঞ্জ-বেতগঞ্জ সড়ক। পশ্চিমে বাংলাদের কৃষি পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটের জেলা কার্যালয়। পুর্বে বুড়িস্থল গ্রামের ঘরবাড়ি। ডাম্পিং ইয়ার্ডের ভিতরে বড়সড় একটি পুকুর ও অনেক খালি জায়গা পড়ে আছে। কিন্তু ময়লা ভিতরে না ফেলে ফেলা হচ্ছে সড়ক ঘেঁষে। এসব ময়লা থেকে দুর্গন্ধ বেরুচ্ছে। দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে। এই সড়ক দিয়ে যানবাহনে যাতায়াতকারী ও পথচারীদের নাক চেপে এই স্থানটি পার হতে হয়।
বুড়িস্থল গ্রামে দুজন বাসিন্দা বলেন, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন এলাকার মানুষ শহরে যাতায়াত করেন। কিন্তু গুজাউড়া এলাকায় গেলেই দুর্গন্ধ শুরু হয়। রাস্তার ওপর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ময়লা পড়ে থাকে। পথচারীরা এতে সমস্যায় পড়েন। মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। গ্রামের একজন কলেজ ছাত্র বলেন,‘ময়লা ফেলার স্থানটি পার হতে নাক চেপে যেতে হয়। তবুও টেকা যায় না। বমি চলে আসে। ময়লা রাস্তার পাশে না পেলে ভিতরে ফেললে এতো সমস্যা হতো না।’ বুড়িস্থল গ্রামের বাসিন্দা জহির আলী বলেন, বৃষ্টি হলে সড়কজুড়ে ময়লা ছড়িয়ে পড়ে। তখন পথচারীরা সমস্যায় পড়েন বেশি। পৌরসভার লোকজন মাঝেমধ্যে সড়ক থেকে ময়লা সরানোর চেষ্টা করে। কিন্তু এতেও কাজ হয় না। কয়েকদিন সড়কের ওপর ময়লার পরিমাণ বেশি ছিল। পরে পৌরসভার পক্ষ থেকে সড়কটি পরিস্কার করা হয়েছে। কিন্তু এলাকাবাসীর ভোগান্তি কমেনি।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মীর মোশারফ হোসেন জানান, ময়লা আর্বজনা সড়কের ওপর রাখা হয় না। তবে বৃষ্টি হলে কিছু ময়লা সড়কের ওপর চলে আসে। এতে পথচারীদের কিছুটা সমস্যা হয়। তিনি বলেন, এখন সড়ক ঘেঁষে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সড়ক থেকে ১০ফুট দূরে পাকা দেয়াল থাকবে। তাতে ময়লা দেখা যাবে না। সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ হলে এলাকাবাসীর আর সমস্যা থাকবে না। আগামি মাসেই এ কাজের জন্য দরপত্র আহবান করা হবে।
![](https://bishwa-bangla.com/files/uploads/2020/08/trasparent-bishwa-bangla-300x83.png)