সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হলেন কামরুল হুদা জায়গীরদার
বিশ্ব বাংলা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৫০:৩৪,অপরাহ্ন ০২ অক্টোবর ২০১৯নিউজ ডেস্ক:
জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সিলেট জেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক হলেন কামরুল হুদা জায়গীরদার। জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কামরুল জেলা বিএনপির বিদায়ী কমিটির সহসভাপতি ছিলেন।
বুধবার কামরুলকে আহ্বায়ক করে ২৫ সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। এ কমিটিকে আগামী ৩ মাসের মধ্যে কাউন্সিলের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে হবে।
বিএনপি সূত্র জানায়, প্রথমে সম্ভাব্য আহ্বায়ক হিসেবে অনেকের নাম আলোচনায় এলেও তারা দায়িত্ব নিতে রাজি হননি। বিশেষ করে আহ্বায়ক পরবর্তী সম্মেলনে প্রার্থী হতে পারবেন না- এমন শর্তের কারণে কেন্দ্রের প্রস্তাবে একাধিক নেতা নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। এতে আহ্বায়ক কমিটি গঠন প্রক্রিয়া প্রায় ৫ মাস বিলম্বিত হয়। শেষ পর্যন্ত কামরুলের পাশাপাশি আরেক সহসভাপতি আশিক উদ্দিন চৌধুরীর নাম সম্ভাব্য আহ্বায়ক হিসেবে আলোচনায় ছিল। তবে কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আশিক উদ্দিন চৌধুরীকে সদস্য রাখা হয়েছে।
আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা হলেন- সদ্য সাবেক সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, অ্যাডভোকেট আব্দুল গফফার, সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহমেদ, কাইয়ুম চৌধুরী, অধ্যাপিকা সামিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আশিক চৌধুরী, মঈনুল হক চৌধুরী, আব্দুল হান্নান, ফারুকুল ইসলাম ফারুক, শাহ জামাল নুরুল হুদা, মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, মামুনুর রশীদ মামুন, ইশতিয়াক আহমেদ সিদ্দিকী, এমরান আহমদ চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন লস্কর, সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, মাযহারুল ইসলাম ডালিম, অ্যাডভোকেট হাসান পাটোয়ারী রিপন, আব্দুল আহাদ খান জামাল, মাহবুবুল হক চৌধুরী, আবুল কাশেম, শামীম আহমেদ ও আহমেদুর রহমান চৌধুরী।
২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি কাউন্সিলে সরাসরি ভোটে সদ্য বিদায়ী কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই তিনজন দায়িত্ব নেওয়ার ১৪ মাস পর কেন্দ্র থেকে ২৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। গত বছরের অক্টোবরে লন্ডনে ‘পলাতক’ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একটি রায়ের প্রতিবাদে সিলেট জেলা বিএনপির হাতেগোনা কয়েক নেতা মিছিল করেন।
এতে ক্ষুব্ধ তারেক সিলেট জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙে দিতে দেশে অবস্থানরত শীর্ষ নেতাদের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি জেলা বিএনপি নেতাদের ঢাকায় ডেকে নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে তাদের সঙ্গে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় করেন তারেক। পরে নতুন কমিটি করতে ডা. জাহিদ হোসেনকে প্রধান করে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক টিম গঠন করে দেওয়া হয়। ডা. জাহিদ বর্ধিত সভা করে যাওয়ার পর পাঁচ মাস ধরে আহ্বায়ক কমিটির অপেক্ষায় ছিলেন জেলার নেতাকর্মীরা।