স্পেনের টেনেরিফে যেমন আছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা
তারেক সিদ্দিকী
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৩৫:৫৭,অপরাহ্ন ২৯ জুলাই ২০২০‘টেনেরিফ’। গ্রান কারানিয়াস দ্বীপপুঞ্জভুক্ত একটি দ্বীপ। অনিয়মিতদের সহজ বৈধতা আর কাজের নিশ্চয়তা থাকায় অভিবাসীদের জন্য টেনেরিফ গন্তব্য হয়ে উঠছে অনেকেরই। অভিবাসী বাংলাদেশিদের সংখ্যাও ক্রমান্বয়ে বাড়ছে এ দ্বীপ শহরে। টেনেরিফে প্রায় ৭০০ বাংলাদেশি বাস করছেন। নিজস্ব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান যেমন রয়েছে অনেকেরই; তেমনি কর্মজীবির সংখ্যাও কম নয়। কর্মক্ষেত্রে রয়েছে বাংলাদেশিদের সুনাম। সম্প্রতি করোনা মহামারি জীবনযাত্রাকে কয়েক মাসের জন্য থমকে দিলেও আবার জেগে ওঠেছে টেনেরিফ। তবে পর্যটকদের পদযাত্রার দেখা পুরোপুরি মেলেনি পর্যটকদের আকৃষ্ট করার এ দ্বীপ টেনেরিফ।
করনাকালীন সময়ে সুস্থ আছেন বাংলাদেশিরা
করোনা মহামারিতে টেনেরিফ লকডাউনে ছিল মাস তিনেক। বৈশ্বিক মহামারি করোনায় টেনেরিফে আক্রান্ত হোন ২ হাজার ৪৮৩ জন। আর প্রাণ যায় ১৬২ জনের। তবে সুখকর সংবাদ- কোন বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হবার খবর পাওয়া যায়নি।
কর্মহীন বিপাকে পড়া স্থানীয় প্রবাসীদের নানা সামগ্রী উপহার দিয়েছেন কমিউনিটি নেতা জাকির আহমেদ, মন্টু মিয়া প্রমূখ। এদিকে লকডাউন পরবর্তী জনজীবন কিছুটা স্বাভাবিক হলেও পর্যটননির্ভর টেনেরিফের রেস্তোরাঁগুলো এখনো সব খোলেনি। কাজে স্থবিরতা বিরাজমান। কর্মহীন অন্যান্যদের মতো ওখানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরাও সরকারী অনুদান গ্রহণ করছেন। আগষ্ঠে কাজের ব্যস্ততা বাড়লে কর্মক্ষেত্রে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে সবার।
এ সময়ে বাংলাদেশিদের নানা কার্যক্রম
কর্মহীন অবসর সময়ে টেনেরিফের বাংলাদেশিরা স্প্যানিশ ভাষা শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। স্থানীয় কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ফারুক আহমেদের তত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে স্প্যানিশ ভাষা শেখার ক্লাস। আর পাবেল আহমেদ পরিচালনা করছেন কোনআন শিক্ষা কার্যক্রম।
প্রাপ্ত অফুরন্ত সময়ে খেলাধূলায়ও মত্ত্ব আছেন স্থানীয় তরুণ বাংলাদেশিরা। নিজেদের সংগঠন বেঙ্গল ক্লাবের উদ্যোগে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজনও করা হয়।
লকডাউনেও টেনেরিফে বাংলাদেশিদের নির্মিত মসজিদ আল সুন্নাতে ঈদুল ফিতরের নামাজের অনুমতি পাওয়া গিয়েছিল। আসন্ন ঈদুল আযহায়ও এ মসজিদে স্থানীয় মুসল্লীরা ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
টেনেরিফে সৌহার্দ্যপূর্ণ জীবন যাপন প্রবাসী বাংলাদেশিদের। তবে করোনা পরবর্তী কর্মমূখর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে উদগ্রীব সবাই।