ইতালির সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশী ৪ প্রার্থী
ইতালি প্রতিনিধি
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:০৯:২৯,অপরাহ্ন ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ইতালির সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন ৪জন বাংলাদেশি প্রার্থী। আগামী ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বরের অনুষ্ঠিতব্য ‘ভেনিস মিউনিসিপাল ইলেকশন ২০২০’-এ তারা অংশগ্রহণ করছেন।
এ বছর নির্বাচনে বিদেশিদের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও অংশগ্রহণের কারণে বাংলাদেশীসহ স্থানীয়দের মধ্যেও নির্বাচনী আমেজ শুরু হয়ে গেছে।
প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় মাধ্যমে ইতোমধ্যেই ভেনিসে বাংলাদেশী প্রার্থীরা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন বলে জানা গেছে। ভেনিস সিটি মেয়রের সাথে কাউন্সিলার পদে নির্বাচনে যারা অংশ নিচ্ছেন তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন বাংলাদেশী মনোয়ার ক্লার্ক। তিনি তার দলের সাথে প্রত্যেকটি নির্বাচনী সভায় যোগ দিচ্ছেন এবং তাকে ভোট দেয়ার মাধ্যমে কাউন্সিলর নির্বাচিত করার জন্য সবার সহযোগিতা চাচ্ছেন।
এছাড়া তিনি প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের সাথে গণসংযোগ এবং নির্বাচনি সভা করে বাংলাদেশি ভোটারদের কাছে ভোট চাচ্ছেন।
ভেনিসের মেস্ত্রে ওয়ার্ড থেকে সদস্য পদে আফাই আলী এবং ভেনিসের মারগেরা ওয়ার্ড থেকে আব্দুল হান্নান নির্বাচন করছেন। প্রার্থীদের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার ব্যপারে বেশ আশাবাদী বাংলাদেশী ভোটারসহ স্থানীয়রা। এছাড়াও ত্রেনতো শহরে বাংলাদেশী জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
এই চারজন বাংলাদেশি প্রাথী সম্পর্কে প্রবাসীরা তাদের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, হার-জিত থাকবে তবে বড় ব্যাপার হল তারা যে ইতালির মূল ধারার রাজনীতি অংশগ্রহণ করছেন। আর এটা আমাদের জন্যে বাংলাদেশী হিসেবে অনেক গর্বের বিষয়। তারা আরও মনে করছেন, এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে আগামীতে ইতালির জাতীয় সংসদ পর্যন্ত বাংলাদেশিদের নির্বাচন করার মতো সুযোগ ও পরিস্থিতি তৈরি হবে। এছাড়া, আগামী প্রজন্মের শিশুরা ইতালিয়ান রাজনীতির সাথে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করতে উৎসাহী হবে।
উল্লেখ্য, গত ২০১৫ সালে ইতালি ভেনিসে সৈয়দ কামরুল সারোয়ার এবং ইতালির রোমে লুৎফুর রহমান বাংলাদেশি হিসেবে ইতালির কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রার্থী হয়ে এই চারজন বাংলাদেশি এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ‘ভেনিস মিউনিসিপাল ইলেকশন ২০২০’-এর নির্বাচন গত ৩১ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলে কভিড১৯ মহামারীর কারণে নির্বাচন পিছিয়ে আগামী ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের তারিখ পুননির্ধারণ করা হয়।