পর্তুগালে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের বিদায় সংবর্ধনা ও শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী

পর্তুগালে বাংলাদেশ দুতাবাসের বর্তমান রাষ্ট্রদূত মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকীর বিদায় ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৬ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেল ৬টায় পর্তুগালের বাংলাদেশ দুতাবাসে বাংলাদেশি স্টুডেন্টস কমিউনিটি, পর্তুগাল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

রাষ্ট্রদূতের সাথে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের একাংশ।

শিক্ষার্থীদের সংগঠন বাংলাদেশি স্টুডেন্টস কমিউনিটি পর্তুগাল-এর সমন্বয়ক সভাপতি জহুরুল ইসলাম মুনের পরিচালনায় রাষ্ট্রদূত মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকী তার বিশেষ বিদায়ী বক্তব্যে রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রদূতের সহধর্মীনি রিমা আরা খানম, দুতাবাসের দ্বিতীয় সচিব ও দূতালয় প্রধান আব্দুল্লাহ আল রাজী ও তার সহধর্মীনী মালিহা খাঁন।

সংবর্ধনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশী বিদায়ী রাষ্ট্রদূত (মাঝে)।

উপস্থিত অতিথবৃন্দ পর্তুগালে শিক্ষার সুযোগ, শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা এবং বিবিধ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, “আমি যতদিন ছিলাম চেষ্টা করেছি শিক্ষার্থীর পাশে থাকতে। এই দেশে খুব কম খরচে লেখাপড়া করা যায় এবং সাথে সাথে খুব সহজে ইউরোপের নাগরিক হওয়া যায়। তাই পড়াশুনা ও ব্যবসার ব্যাপক সম্ভাবনা আছে এখানে”।
শিক্ষার্থীরা যেন পর্তুগালে উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশেই ভিসা জমা দিতে পারেন -এমন দাবি সংগঠনের পক্ষ থেকে তুলে ধরলে রাষ্ট্রদূত তার অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে পর্তুগালের দূতাবাস হওয়া নিয়ে অনেক কাজ করেছি। তবে দূতাবাস না হলেও, ভিএফএস বা অন্য কোন এম্বাসির মাধ্যমে যেন ভিসা বাংলাদেশেই জমা দিতে পারেন -তার জন্য জোর প্রচেষ্টা চলছে। আমি আশা করি নিকট ভবিষ্যতেই এই সুখবর আপনারা পাবেন।
উল্লেখ্য, পর্তুগালে করোনা ভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়। বিদায় সংবর্ধনারশেষে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানশেষে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে মসজিদে এসি বিস্ফোরণে নিহতদের স্মরণে এবং পর্তুগালে কিছুদিন আগে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত প্রবাসী মোহাম্মদ জামাল উদ্দিনের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয় করা হয়।
লেখক: সমাজকর্মী, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক।