পর্তুগালে আগামী ১৫ই সেপ্টেম্বর থেকে নতুন বিধি নিষেধ

ফরিদ আহমেদ পাটওয়ারি , পর্তুগাল
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৫৭:৪৫,অপরাহ্ন ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০পর্তুগালে রাজধানী লিসবন বিধি-নিষেধের আওতায় থাকলেও পুরো দেশব্যাপী তা শিথিল ছিল তবে আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা বর্তমান করোণা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যবিধির আলোকে নতুন বিধিনিষেধ প্রবর্তন করেছেন যা ৎআগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
যদিও ইতিপূর্বে গত ৩০ আগস্ট মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে আগামী পনেরোই সেপ্টেম্বর থেকে পুরো দেশ নতুন ঝুঁকিতে প্রবেশ করবে এবং বিধি-নিষেধের বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো ঘোষণা করেছেন-
১. সর্বোচ্চ ১০ জনের একত্রিত হতে পারবে
২. বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো সকাল দশটা আগে খুলতে পারবে না
৩. খোলা রাখার সময় রাত আটটা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত এই বিষয়টি কামারা মিউনিসিপাল এর সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে।
৪. শপিং সেন্টার এবং এ সংক্রান্ত অঞ্চলে সর্বোচ্চ চার জন একত্র থাকতে পারবে।
৫. রাত আটটা থেকে অ্যালকোহল বিক্রি নিষিদ্ধ ( খাবারের টেবিলে ব্যতিক্রম)।
৬. রাস্তা এবং পাবলিক প্লেসে অ্যালকোহল পান নিষিদ্ধ।
৭. রেস্টুরেন্ট, কফি, পেস্ট্রি শপে – স্কুল থেকে ৩০০ মিটার দূরত্বে, সর্বোচ্চ একসাথে চারজনের গ্রুপ গ্রহণযোগ্য।
৮. খেলার মাঠে দর্শক ছাড়াই খেলা চল।
তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৩ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু কার্যক্রম বাধ্যতামূলক করেছেন। বিদ্যালয় গুলোকে নতুন স্বাস্থ্যবিধির আলোকে সাজিয়ে নেওয়া, প্রতিটি বিদ্যালয় জরুরী পরিকল্পনা সমূহ প্রবর্তন, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম বন্টন, কেউ সংক্রমিত হলে বা সংক্রমিত সন্দেহ হলে সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন।
তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী লিসবন এবং পর্তু এরিয়াতে সম্ভব হলে ঘরে বসে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন এবং সম্ভব না হলে, কাজে যোগদান এবং কাজ শেষে বের হওয়ার সময়ের পরিবর্তন এবং সীমিত সংখ্যক লোক দিয়ে রোটেশন। বিরতির সময় পরিবর্তন, পাবলিক যানবাহনে খুবই সতর্কতার সাথে চলাচল ইত্যাদি।
প্রধানমন্ত্রী জনগণের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন উত্তর দিক নির্দেশনা মেনে চলার জন্য, তবে ইতোপূর্বে পর্তুগালের জনগণ সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার কারণে অন্যান্য দেশের তুলনায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ অনেকটাই সীমিত করা সক্ষম হয়েছে।
লেখক : সমাজকর্মী ও ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক।
