ইতালিতে ২৬ এপ্রিল থেকে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে আলোচনা
বিশ্ব বাংলা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:২৩:৩০,অপরাহ্ন ২৩ এপ্রিল ২০২১দীর্ঘ লকডাউনে অর্থনৈতিক মন্দার কবলে উন্নয়নশীল দেশ ইতালি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে চলার পর আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে সব কিছু খুলে দিতে আলোচনা শুরু করেছে ইতালি সরকার।
সুত্রমতে, করোনা পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসলেও অর্থনৈতিক গতিশীলতা বাড়াতে ব্যবসা বানিজ্য সব খুলে দেওয়ার জন্য ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিবে সরকার। ঘোষণা আসার পরেও জরুরি অবস্থা আগের মতই থাকবে। পাশাপাশি নিয়ম মেনে প্রতিষ্ঠান চালাতে নির্দেশনা রয়েছে। রেষ্টুরেন্টের ভিতরে বসে কেউ খেতে পারবেনা। দূরত্ব বজায় রেখে চার জনের বেশি এক টেবিলে বসতে পারবেনা। এগারটা থেকে কারফিউ শুরু হবে। খুব শীঘ্রই নতুন ঘোষণা দিবে সরকার। নতুন নিয়ম কেমন হবে এ ঘোষণার প্রতিপক্ষায় ব্যবসায়ীসহ জনসাধারণ। ইতালিতে পর্যটন ও রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায় অনেকটা ধস নেমে এসেছে। সম্প্রতি এনিয়ে আন্দোলন করেছে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা। এসব বিচার বিশ্লেষণ করে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন সরকার বাকী শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।
দেশটিতে ১৯ এপ্রিল করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক লাখ ৪৬ হাজার ৭শ ২৮জনকে। এর আগে গত ২৪ ঘন্টায় দুই লাখ ত্রিশ হাজার ১১৬ জন রেজিষ্ট্রেশনের মধ্যে নতুন আক্রান্ত ছিল ১২ হাজার ৬শ ৯৪ জন। মৃত্যুর সংখ্যা ২৫১ জন। এখনও আক্রান্ত ৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়। গতকাল আট হাজার আট শত ৬৪ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩শ ১৬ জন।
দেশটিতে অঞ্চল এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশগুলি চারটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে এরমধ্যে লাল, কমলা, হলুদ এবং সাদা। ঝুকিপূর্ণের মধ্যে লাল এলাকায় সর্ব সতর্কতা জারি করা হয়েছে। লাল অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে পুলিয়া, সারদেনা এবং ভাললে আওস্তা। কমলা অঞ্চলে রয়েছে আবরুজ্জো, বাসিলিকাতা, ক্যালব্রিয়া, ক্যাম্পানিয়া, এমিলিয়া রোমানা, ফ্রিউলি ভেনিজিয়া গিউলিয়া, লাজিও, লিগুরিয়া, লম্বার্ডিয়া মার্কে, মোলাইস, পিএ বলজানো, পিএ ট্রেন্টো, পিওমন্টে, সিসিলিয়া, টসকানা, উম্বরিয়া এবং ভেনেটো। বর্তমান হলুদ ও সাদা অঞ্চলমুক্ত। এক এপ্রিল ২০২১ ডিক্রি -আইন এর ৪৪ অধ্যাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ
শ্রেণিবিন্যাস জারি করা হয়েছে। দেশটিতে করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৮ লাখ আটাত্তর হাজার ৯শ ৯৪ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যুর সংখ্যা এক লাখ ১৭ হাজার ২শ ৫৩। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে প্রায় ৩২ লাখ ৬৮ হাজার ২৬২ জন।