নিউজিল্যান্ডের সেই মসজিদেই জুমার নামাজ পড়লো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:২৮:৩৫,অপরাহ্ন ০৪ অক্টোবর ২০১৯জীবন থেমে থাকে না, সময়ের স্রোতে এগিয়ে যায়। ক্রাইস্টচার্চের জীবনও থেমে নেই, সবকিছুই চলছে স্বাভাবিক নিয়মে। স্বাভাবিক বলেই আজ ক্রাইস্টচার্চের সেই আল-নূর মসজিদেই জুমার নামাজ পড়তে গেল বাংলাদেশের আরও একটি দল।
শুধু ক্রাইস্টচার্চ কিংবা নিউজিল্যান্ডের মানুষের কাছেই নয়, এই আল-নূর মসজিদ আলাদা জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটেও। এ মসজিদেই গত ১৫ মার্চ কী নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল বর্ণবাদী মোহে আচ্ছন্ন এক অস্ট্রেলিয়ান। তার ঘৃণ্য, নারকীয় হত্যাযজ্ঞে প্রাণ হারিয়েছিল ৫০-এর অধিক মানুষ। এই ভয়ংকর ঘটনায় অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। আরেকটু হলেই বিয়োগান্ত এক ঘটনা ঘটে যেতে পারত বাংলাদেশ ক্রিকেটে। গোলাগুলির সময় মসজিদের পাশেই হ্যাগলি পার্কের ভেতর দিয়ে ত্রস্ত, ভয়ার্ত তামিম-তাইজুল-মিরাজ ফিরছেন ড্রেসিংরুমে, এই ছবি এখনো ভাসে সবার চোখে।
ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ দল সফর অসমাপ্ত রেখে ফিরে আসে দেশে। সাত মাস পরে সেই ক্রাইস্টচার্চে গিয়েছে বিসিবির আরেকটি দল; বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯। আজ শুক্রবার আল-নূর মসজিদেই জুমার নামাজ আদায় করেছে পুরো দল।
ক্রাইস্টচার্চের আল-নূর মসজিদে নামাজ আদায় করতে গিয়ে যুব দলের অধিনায়ক আকবর আলীর বারবার মনে পড়েছে গত মার্চের ঘটনা। ক্রাইস্টচার্চ থেকে আজ দুপুরে মুঠোফোনে আকবর জানলেন তাঁর অভিজ্ঞতা, ‘এখানে দু-একজনের সঙ্গে কথা হয়েছে, যাঁরা ওই সময় মসজিদের ভেতর ছিল। সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতা তাঁরা আমাদের কাছে শেয়ার করেছে। তবে নামাজ পড়তে আমাদের তেমন ভয় লাগেনি। জানেনই তো নিউজিল্যান্ড অপরাধ শূন্য (জিরো ক্রাইম) দেশ। তাদের ইতিহাসে হঠাৎ একটা ঘটনা ঘটে গেছে। গত শুক্রবার আমাদের ম্যাচ ছিল বলে আসতে পারিনি এ মসজিদে, আজ আমরা এক সঙ্গে এলাম। যখন (হ্যাগলি) পার্কের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম, তামিম ভাইদের বেঁচে ফেরার ভিডিওটা বারবার ভাসছিল চোখে।’